নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া :
সেদিন পুরুলিয়ার আকাশে যেন এক অদ্ভুত যোগ। একদিকে শহরে এলেন প্রধানমন্ত্রী, অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী। শহরজুড়ে মানুষের ভিড়ে হাঁটাহাঁটি করাই দুঃসাধ্য, যেন মাছি গলবার জায়গাও নেই। এই ভিড়েই একাদশ শ্রেণির ছাত্রী লাবণী মাহাতো হারিয়ে ফেলেছিলেন নিজের মোবাইল ফোন। কেতিকা প্রফেসর কলোনির অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী চঞ্চল মুখার্জি ব্যাংকে কাজ সারতে গিয়ে হারান ফোন, সঙ্গে সঙ্গে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট লক করিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। জেলার আইনজীবী প্রসেনজিৎ মুখার্জি চলতি মাসের ১ তারিখে হারিয়েছিলেন মোবাইল। অন্যদিকে বাসস্ট্যান্ডে বাসে উঠতে গিয়ে ফোন হারান রাজারাম রাজোয়াড়।

এভাবে কারও কয়েক দিনের, কারও কয়েক মাসের, কারও বা কয়েক বছরের উৎকণ্ঠা মিটল শুক্রবার। জেলা পুলিশের উদ্যোগে ‘প্রাপ্তি’ প্রকল্পের মাধ্যমে একসঙ্গে ৫৪০টি মোবাইল ফেরত দেওয়া হল। পুরুলিয়া শহরের উপকণ্ঠে বেলগুমা পুলিশ লাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে ১০ জনের হাতে মোবাইল তুলে দেন আধিকারিকরা। বাকি ৫৩০টি মোবাইল সংশ্লিষ্ট থানার মাধ্যমে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
প্রযুক্তির সদ্ব্যবহারের ফলেই মিলেছে হারানো ফোনগুলি। নিজেদের মোবাইল হাতে পেয়ে খুশি উপভোক্তারা। আইনজীবী প্রসেনজিৎ মুখার্জি বলেন, “শুধু হারানো মোবাইল ফেরত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি তা নয়, পুরুলিয়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও এখন অনেক উন্নত। এজন্য জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞ।”
Post Comment