নিজস্ব প্রতিনিধি, সাঁওতালডি :
অতিরিক্ত পণের দাবিতে স্ত্রীর উপর দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালিয়ে খুন করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলো সাঁওতালডিহির কামারগোড়া গ্রামের রতন মাঝি। শনিবার রঘুনাথপুর আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক প্রিয়জিত চট্টোপাধ্যায় এই রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি দশ হাজার টাকা জরিমানা এবং জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। মৃতার দুই নাবালিকা কন্যার ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দেয় আদালত।
সরকারি আইনজীবী তপন মাজি জানান, ২০১২ সালে রতন মাঝির সঙ্গে সম্পা মাঝির সামাজিকভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর দম্পতির দুটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু স্বামী রতন ক্রমাগত বাপের বাড়ি থেকে অতিরিক্ত পণ আনার জন্য স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকে। টাকা না পাওয়ায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলতে থাকে বছরের পর বছর। অবশেষে ২০২২ সালের ১৬ মার্চ নিজের ঘরে রাখা গাঁইতি দিয়ে হামলা চালিয়ে সম্পাকে খুন করে অভিযুক্ত।
মৃতার বাবা ওই দিনই সাঁওতালডিহি থানায় জামাই রতনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বধূ নির্যাতন ও খুনের মামলা রুজু করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। ২০২৩ সাল থেকে চলা বিচার প্রক্রিয়ায় মোট ২৩ জন সাক্ষীর বয়ান শোনেন বিচারক। সমস্ত প্রমাণ পর্যালোচনা করে রতন মাঝিকে দোষী সাব্যস্ত করে শনিবার শাস্তি ঘোষণা করে আদালত।
কিন্তু কে দেখবে নাবালিকা দুই কন্যাকে? প্রশ্ন গ্রামবাসীদের মনে।








Post Comment