নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝালদা :
দিন দিন বাড়ছে কাজের চাপ, অথচ নেই উপযুক্ত পরিকাঠামো, প্রযুক্তিগত সহায়তা। এই অসন্তোষ থেকেই রাস্তায় নামলেন ঝালদা ১ নম্বর ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। সোমবার ঝালদা হাটতলা ময়দান থেকে এক বিশাল মিছিল করে তাঁরা পৌঁছন ব্লক শিশু বিকাশ প্রকল্প দপ্তরে এবং সিডিপিও সৈকত ভট্টাচার্যের হাতে তুলে দেন ১৩ দফা দাবিপত্র।
অভিযোগ, ই-কেওয়াইসি ব্যবস্থায় ডিজিটাল কাজ চালাতে মোবাইল বাধ্যতামূলক হলেও তা কর্মীদের দেওয়া হয়নি। কর্মী রেখা মণ্ডল ও রেবা চক্রবর্তী বলেন, “দিন দিন আমাদের কাজের পরিমাণ বাড়ছে। হেলথ সার্ভে, ফুড ডিসট্রিবিউশন, রিপোর্টিং – করতে হচ্ছে এই সমস্ত কাজ। কিন্তু পরিকাঠামো সেই আগের জায়গাতেই রয়েছে।”
তাঁদের দাবির মধ্যে রয়েছে—
১) প্রত্যেক কর্মীর অ্যাকাউন্টে মোবাইল কেনার জন্য সরাসরি ১৫,০০০ টাকা অনুদান দিতে হবে।
২) কম ওজনের চাল ও ডালের বদলে দিতে হবে পূর্ণ ২৫ কেজির বস্তা।
৩) ডিম, সবজি ও জ্বালানির জন্য বাস্তবসম্মত বাজারদরের ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দ করা দরকার।
৪) দিতে হবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ।
৫) খোলা আকাশের নিচে বা ভাড়া বাড়িতে চলা সেন্টারগুলির জন্য নির্দিষ্ট ঘর বরাদ্দ করতে হবে।
৬)একজন কর্মীর উপর একাধিক সেন্টারের দায়িত্ব চাপানো চলবে না।
তাঁরা স্পষ্ট জানান, দাবিগুলি কর্তৃপক্ষ না মানলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।
বিষয়টি সম্পর্কে সিডিপিও সৈকত ভট্টাচার্য বলেন, “যেগুলি দপ্তরের আওতায় রয়েছে, তা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করব। বাকি বিষয়গুলি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।”
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মতে, শুধুমাত্র দায়িত্ব চাপিয়ে দিলে হবে না, কাজ চালানোর জন্য যথাযথ সহায়তাও প্রয়োজন। তা না হলে শিশু বিকাশের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বিপন্ন হবে।











Post Comment