নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া :
শুরু এক নরেন্দ্রর বিশ্বজয়ের দিনে। আর সমাপ্তি আরেক নরেন্দ্রর জন্মদিনে।
১৮৯৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকার শিকাগোতে বিশ্বধর্ম মহাসভায় দাঁড়িয়ে স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর অগ্নিবাণী বক্তৃতায় ভারতবর্ষকে বিশ্বের দরবারে নতুন মর্যাদা দিয়েছিলেন। সেই দিনেই, ২০২৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হল রাজ্যজুড়ে “নরেন্দ্র কাপ” ফুটবল প্রতিযোগিতা। আর এর সমাপ্তি হবে ১৭ সেপ্টেম্বর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে। দুই নরেন্দ্রর দিন-তারিখের এই প্রতীকী যোগসূত্রই টুর্নামেন্টকে ঘিরে কৌতূহল বাড়িয়েছে।
শুধু কলকাতা বা উত্তর-দক্ষিণবঙ্গ নয়, সারা রাজ্যের মতোই পুরুলিয়াতেও শুরু হয়েছে এই ফুটবল উৎসব। জঙ্গলমহলের এই জেলায় বিজেপির সাংগঠনিক জেলা পুরুলিয়ার সাত বিধানসভা জুড়ে, প্রতিটি মন্ডল থেকে গড়ে তিন ডজন দল মাঠে নামছে। শুধু পুরুলিয়াতেই প্রায় ৩৬টি দল অংশ নিচ্ছে। গোটা রাজ্য জুড়ে দলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৮০০। বিজেপির প্রত্যেক সাংগঠনিক জেলায় সমান তালে চলছে এই প্রতিযোগিতা।
রাজনৈতিক মহল বলছে, এটি নিছক ফুটবল আয়োজন নয়। বরং আগামী বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখে যুব ভোট টানতেই বিজেপির এই কৌশল। অন্যদিকে আয়োজকদের দাবি, যুব সমাজকে খেলাধুলায় আগ্রহী করা এবং প্রতিভাবান ফুটবলারদের তুলে আনার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।
প্রতিযোগিতা হবে নক-আউট পদ্ধতিতে। প্রতিটি জেলার জয়ী দল পাবে অর্থ পুরস্কার, ট্রফি ও উপহার। চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। উদ্বোধনী দিনে পুরুলিয়ার নানা প্রান্তে মাঠে মাঠে জড়ো হয় শতাধিক দর্শক। স্থানীয় নেতারা দাবি করেছেন, “এই প্রতিযোগিতা নতুন প্রজন্মকে মাঠমুখী করবে।”
যদিও বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, ফুটবলকেও বিজেপি রাজনৈতিক প্রচারের মাধ্যম বানাচ্ছে। পাল্টা শাসক শিবিরের বক্তব্য, “খেলাধুলার মাধ্যমে যুবসমাজকে একত্রিত করাই মূল লক্ষ্য, রাজনীতির সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।”
Post Comment