নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া:
নদীর চরে পাঠশালা! সেই সবুজ পাঠশালা ফুটিয়ে তুলল পুরুলিয়া শহরের শান্তময়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও বন্ধু অর্গানাইজেশন। ছুটির দিন রবিবার ‘রিভারসাইড গ্রীন ক্লাসরুমের’ সংকল্প নিয়ে নদী বাঁচাতে কাঁসাই নদীর চরেই চলে পাঠশালা। যে পাঠশালায় নদী বাঁচাতে সচেতনতার পাঠ দেওয়া হয়। প্রকৃতির সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে নদীর চরেই হয় নানান সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। এই পাঠশালার যে একটাই স্লোগান, ‘ বাঁচাও নদী, জীবন চাও যদি l’ রবিবার ২২ সেপ্টেম্বর ‘বিশ্ব নদী দিবস’কে মাথায় রেখে পুরুলিয়ার শান্তময়ী গার্লস হাই স্কুল এবং বন্ধু অর্গানাইজেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয় নদী সবুজ শ্রেণী শিক্ষণ। ২০০৫ সাল থেকে মার্ক এঞ্জেলোর নেতৃত্বে জাতিসংঘের আয়োজনে পৃথিবীর ৬০ টি দেশে এই দিনটি পালন করা হয়। রাজ্যেচলতি বছর প্রথম ১২ টি জেলা এগিয়ে এসেছে শিক্ষার্থীদের প্রকৃতির সঙ্গে বন্ধন যাতে আরও দৃঢ় করা যায় সেই কাজে । আর এই কাজের উদ্দেশ্য হলো ‘রিভারসাইড গ্রিন ক্লাসরুম।’কি এই ‘রিভারসাইড গ্রিন ক্লাসরুম’? মুক্ত প্রকৃতির মধ্যেশ্রেণী শিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নদী সম্বন্ধে জানতে উৎসাহিত করা। আর সেই কাজের অঙ্গ হিসাবেই নদীর চরে নদী ভিত্তিক কবিতা আবৃত্তি, নাচ, গান এবং পোস্টার মেকিং-র আয়োজন করা হয়েছিলো শান্তময়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুস্মিতা রায় চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে। সঙ্গে ছিলেন বিদ্যালয়ের ভূগোল শিক্ষিকা নন্দিতা ভট্টাচার্য এবং অন্যান্য শিক্ষিকারা। এছাড়া বন্ধু অর্গানাইজেশনের তত্ত্বাবধায়ক অন্নপূর্ণা মুখোপাধ্যায় ও তার বিদ্যালয়ের বিশেষভাবে সক্ষম ছাত্র-ছাত্রীরা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবক-অভিভাবিকারাও যোগদান করায় সচেতনতার বার্তা সমাজের সর্বশ্রেণীতে যাতে ছড়িয়ে পড়ে সেই ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পালন করা হয়। শিক্ষিকা সুস্মিতা রায় চৌধুরী বারে বারে শিক্ষার্থীদের মনে করিয়ে দেন, নদীভিত্তিক সভ্যতা কিভাবে পৃথিবীর প্রতিটি দেশে স্থাপিত হয়েছিলো। এদেশে প্রাচীনকালে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিলো সরস্বতী নদীর তীরে। নদী মাতৃ-স্বরূপা। তাই তাকে বাঁচানো, দূষণ থেকে রক্ষা করা বর্তমান প্রজন্মের দায়িত্ব।











Post Comment