নিজস্ব প্রতিনিধি , মানবাজার:
দেওর ও বৌদির অবৈধ সম্পর্কের বলি হতে হল দাদাকে। গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে খুন, এরপর প্রমাণ লোপাটে দেহ ফেলে দেওয়া হয় পুকুরে। মর্মান্তিক এই ঘটনায় মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই খুনের রহস্যভেদ করল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে মানবাজার থানার অন্তর্গত গোপালনগর অঞ্চলের ঘাসতোড়িয়া গ্রামে। সোমবার এক পুকুর থেকে গৌতম সিং সর্দ্দার নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহ উদ্ধারের পরেই পুলিশের সন্দেহ জাগে—এটি কি নিছক জলে ডুবে মৃত্যু নাকি খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে দেহ? ঘটনাস্থলে পৌঁছান মানবাজার এসডিপিও-সহ মানবাজার থানার আধিকারিকেরা।
তদন্তে নেমে এদিন রাতেই পুলিশ আটক করে মৃত গৌতমের ছোট ভাই উত্তম সিং সর্দ্দার এবং স্ত্রী জ্যোৎস্না সিং সর্দারকে। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য—বিয়ের আগেই উত্তম ও জ্যোৎস্নার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পুলিশের সামনে সেই সম্পর্কের কথা স্বীকারও করেছে তারা।
প্রেমের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল গৌতম। সেই ‘পথের কাঁটা’ সরাতেই কি এই ভয়ানক সিদ্ধান্ত? পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পরিকল্পনামাফিক গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করা হয় গৌতমকে, তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহটি ফেলে দেওয়া হয় গ্রামেরই একটি পুকুরে।
মঙ্গলবার দুজনকে গ্রেফতার করে পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক উত্তমকে ৩ দিনের পুলিশ হেফাজত এবং জ্যোত্স্নাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠায়। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে।










Post Comment