নিজস্ব প্রতিনিধি, বলরামপুর:
জঙ্গলমহল বলরামপুরের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পাইপ চুরি মামলার তদন্ত যত এগোচ্ছে। ততই বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন তথ্য। তদন্ত নেমে পুলিশের হাতে উঠে এসেছে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য—চুরির নেপথ্যে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন খোদ দপ্তরেরই দুই নিরাপত্তাকর্মী। সন্দেহ এড়াতেই ঘটনার রাতেই পাহারাদার নিজেকে বেঁধে রাখতে দুষ্কৃতীদের অনুরোধ করে বলে দাবি পুলিশের।
তদন্তের ভিত্তিতে দুই নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে বলরামপুর থানার পুলিশ। ধৃতরা হলেন বাঁকুড়ি গ্রামের সুভাষ হাঁসদা এবং বনডি এলাকার সঞ্জয় বেসরা। পুলিশের দাবি, ঘটনার রাতে পাহারার দায়িত্বে ছিলেন সুভাষ-ই।
জলপ্রকল্পের কাজের জন্য বলরামপুর কলেজ ময়দানের স্টক ওয়ার্ডে প্রচুর সংখ্যক জলের পাইপ মজুত ছিল। ওখানেই রাতের বেলায় পাহারার ব্যবস্থা ছিল। ১১ অক্টোবর রাতে সেই স্টক ইয়ার্ডে হানা দেয় একদল দুষ্কৃতি। তারা প্রথমে পাহারাদারকে বেঁধে ফেলে, তারপর লরিতে তুলে নিয়ে যায় ৮১টি বড়সড় পাইপ।
পরদিন সকালে পথচারীরা বাঁধা অবস্থায় ওই নিরাপত্তাকর্মীর চিৎকার শুনে ঘটনাটি জানতে পারেন। পরে পুলিশ পৌঁছে চুরির মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। এলাকায় থাকা বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা লরিগুলির নম্বর যোগাড় করেন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লরিগুলি ১৮ নম্বর জাতীয় সড়ক জামশেদপুরের দিকে গিয়েছিল। পরে ঝাড়খণ্ড থেকে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে উদ্ধার হয় পাইপ বোঝাই দুটি লরি, ধরা পড়ে লরির দুই চালকও।
এই মামলার মূল দিক এখন পরিষ্কার—চক্রের ভিতরেই ছিদ্র ছিল। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরাই চুরির নেপথ্যে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিল। আর সেই সূত্র ধরেই সামনে আসছে গোটা বিষয়টি।










Post Comment