নিজস্ব প্রতিনিধি , বলরামপুর:
তৃণমূল বনাম তৃণমূল। লড়াই কমা তো দূর, বরং আরও বাড়ল বিরোধ। অনাস্থার সিঁদুরে মেঘ বলরামপুরে। বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে নিজেদের দলের সভাপতি কাল্লাবতী কুমারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার হুমকি দিলেন পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলেরই ১২ সদস্য সদস্যা।
ফলে টানাপোড়েন অব্যাহত। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যপদ থেকে দুর্গাপূজার মুখে গণইস্তফা দিয়েছিলেন ওই ১২ সদস্য। অভিযোগ ছিল, বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি স্বৈরাচার চালাচ্ছেন পঞ্চায়েত সমিতিতে। এমন এক চরম পদক্ষেপ নিয়েও সভাপতিকে তার পদ থেকে সরাতে পারেননি তারা। আর তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বও পারেনি বিক্ষোভ ঘোচাতে, দ্বন্দ্ব মেটাতে। বরং প্রশাসন নিয়ম অনুযায়ী হয়নি বলে তাদের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেনি। এবার সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার হুমকি দিলেন পুরুলিয়ার বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির ১২ জন তৃণমূল সদস্য। বলরামপুর ব্লকের বিডিওকে বিষয়টির কথা জানিয়েছেন তাঁরা। অবশ্য এখানেও নিয়মের গলদ দেখতে পাচ্ছে রাজনীতি অভিজ্ঞ মহল। তাঁদের কথা, নিয়ম অনুযায়ী আড়াই বছরের পূর্বে অনাস্থা আনা যায় না। অন্যদিকে অনাস্থার বিষয়টি মহকুমাশাসকের এক্তিয়ারে পড়ে।
অবশ্য সত্যিই অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হলে চাপে পড়ে যেতে পারেন সভাপতি। কারণ, আপাত দৃষ্টিতে সভাপতি এখন সংখ্যালঘু বোর্ডের সমর্থন পাচ্ছেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাল্লাবতী কুমার বলেন, “বিষয়টি আমি দলকে জানিয়েছি। দলই যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।”
বলরামপুরের বিডিও সৌগত চৌধুরি জানিয়েছেন , ” বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
প্রশ্ন উঠছে শাসকদলের কেচ্ছা বারংবার প্রকাশ্যে চলে এলেও কোন্দল মেটাতে কেন কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেন না তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব? তাহলে কি নতুন জেলা সভাপতির অপেক্ষায় বলরামপুরের দ্বৈরথ?
Post Comment