সুইটি চন্দ্র, পুরুলিয়া:
মিড-ডে মিলেও মিষ্টিমুখ!
গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড-ডে মিল এখন শুধুই পুষ্টিকর খাবার নয়। রসনাতৃপ্তির উদাহরণও বটে। মানবাজার ১ নম্বর ব্লকের ধানাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই বিদ্যালয়ে পড়ুয়ারা প্রতিদিনের খাবারের শেষ পাতে পাচ্ছে মরশুমি ফল— আম ও কাঁঠাল।

স্কুল প্রাঙ্গণে গন্ধ ছড়াচ্ছে গাছপাকা আম্রপালি, দশেরি জাতের আম। সঙ্গে কাঁঠালও। সাধারণ দিনেও পাতে পড়ছে ফল। বিশেষ দিনে ‘তিথি ভোজন’-এর অংশ হিসেবে পড়ুয়াদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে একটি করে আম। বিদ্যালয়ের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অমিতাভ মিশ্র জানিয়েছেন, “২০১৫ সাল থেকেই আমরা মিড-ডে মিলে মরশুমি ফল পরিবেশন করে আসছি। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘পিএম পোষণ’ প্রকল্পে ‘তিথি ভোজন’-এর অন্তর্ভুক্তির পর আমাদের এই উদ্যোগ এখন সরকারি স্বীকৃতিও পেয়েছে। এতে আমরা গর্বিত।”

বিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই রয়েছে প্রায় ১২টি আমগাছ ও ৩টি কাঁঠাল গাছ। এখান থেকেই সংগ্রহ করা হচ্ছে ওই ফল। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই খাদ্য তালিকা পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করে তুলছে আরও বেশি।
প্রকৃতপক্ষে, পঠন-পাঠন, সংস্কৃতি, খেলাধুলা ও বিদ্যালয় পরিবেশ—সব মিলিয়ে গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরুলিয়া জেলার প্রাথমিক শিক্ষাক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। মিড-ডে মিলের এমন উদ্যোগ শুধুমাত্র খুদে পড়ুয়াদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে না, বাড়াচ্ছে বিদ্যালয়ের প্রতি টানও।

মিড-ডে মিল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য— পড়ুয়ারা যেন অভুক্ত না থাকে। আর পেট ভরে খাবার পেয়ে পড়াশোনায় আগ্রহী হয়— সেটি যেন বাস্তবায়িত হচ্ছে এই বিদ্যালয়ের প্রতিটি তিথি ভোজনে।
Post Comment