নিজস্ব প্রতিনিধি, বান্দোয়ান :
মাত্র ছয় দিনের মাথায় বৃদ্ধা খুনের রহস্যভেদ করল পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে মৃতারই এক প্রতিবেশীকে। ধৃতের নাম মাধব চন্দ্র সিং। তিনি বান্দোয়ান থানার চিরুগোড়া গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার ধৃতকে পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
পুরুলিয়া জেলা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে ধারাবাহিক তদন্ত চালাচ্ছিল পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বৃদ্ধা খুনের ঘটনায় আমরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছিলাম। তার ভিত্তিতেই মৃতার এক প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। খুনের আসল কারণ জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল গত বৃহস্পতিবার সকালে। চিরুগোড়া গ্রামের বছর আটান্নর উত্তরা মাহাতো স্নানের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। পরে গ্রামের পাশের একটি মেঠো পথে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। মৃতার ছেলে অশোক মাহাতো থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
তদন্তে নামে বান্দোয়ান থানার পুলিশ। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে আসে রাজ্য ফরেন্সিক দল। সেখান থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই রাতেই পুলিশ গ্রেফতার করে মাধব সিং-কে। পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জেরায় খুনের কথা কবুল করেছে ধৃত।
তদন্তে উঠে এসেছে, উত্তরা ও মাধব দুজনেই একটি ধর্মীয় কারণে সেদিন সূর্যোদয়ের আগে গ্রামের বাইরে একটি ঝোরায় স্নান করতে গিয়েছিলেন। মাঝপথে তাঁদের মুখোমুখি দেখা হয়। তখনই দু’জনের মধ্যে বচসা বাধে। সেই বচসার জেরে উত্তেজিত হয়ে মাধব তাঁর কাছে থাকা কুড়ুল দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারেন বলে স্বীকার করেছে তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় উত্তরার।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, খুনের কারণ হিসেবে দুইটি সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে—এক, পুরনো কোনও ব্যক্তিগত বিবাদ; দুই, ডাইনি সন্দেহ সংক্রান্ত বিদ্বেষ। তবে এখনও তদন্ত চলায় পুলিশ নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে নারাজ।









Post Comment