নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া:
খেলা হবে দিবস ঘিরে ফের প্রকাশ্যে এলো পুরুলিয়া পৌরসভায় শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল। রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে রাজ্যের বিভিন্ন ব্লক ও পৌরসভায় আয়োজিত হয়েছে খেলা হবে দিবস। পুরুলিয়া পৌর যুব করণ স্থানীয় এম এস এ ময়দানে আয়োজন করেছিল এই অনুষ্ঠানের। এই উপলক্ষে জেলা পরিষদ একাদশ ও পৌরসভা একাদশ প্রীতি ফুটবল ম্যাচ আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো সহ জেলা পরিষদের অন্যান্য কর্মাধ্যক্ষরা উপস্থিত থাকলেও, পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি ছাড়া কোন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন না।
বিষয়টি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। পুরুলিয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল প্রদীপ কুমার ডাগা বলেন, খেলা হবে দিবসে সরকারি ইনভিটিশন নোটিসে যেভাবে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ ও সদস্যদের কথা আলাদা করে উল্লেখ করা ছিলো, কিন্তু সেই নোটিসে পৌর প্রতিনিধিদের আলাদা ভাবে কোনো কথা উল্লেখ না থাকায় পৌরপ্রতিনিধিরা একটু অপমানিত বোধ করলেন। এবং সেই কারণে এম এস এ ময়দানে খেলা হবে দিবসে তাদের উপস্থিতি নগন্য ছিলো। আশাকরি আগামী দিনে কোনো অনুষ্ঠানে পুরসভার চেয়ারম্যান এবং প্রশাসনিক কর্তারা এই বিষয়ে চিন্তা করে আমন্ত্রণ করবেন। একই ক্ষোভ জাহির করেছেন শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিভাসরঞ্জন দাস।
এদিকে ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, সকল কাউন্সিলরকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে।
পুর প্রধান নবেন্দু মাহালি বলেন, ” সরকারি অনুষ্ঠান। যেখানে অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজকই পুরুলিয়া পৌরসভা, সেখানে কে কাকে আমন্ত্রণ জানাবে? অন্যদিকে আলাদা করে কার্ড কাউকেই দেওয়া হয়নি। জেলা শাসকও তাই জানিয়েছেন আমাকে। নোটিসে সবার কথাই উল্লেখ আছে। এরপরেও কারও অভিমান হলে আর কী বলার থাকতে পারে?”
প্রীতি ফুটবলে জেলা পরিষদ একাদশ ৩-০ গোলে জিতে যায়। এদিন এম এস এ ময়দানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, বাঘমুন্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো, সহ সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
Post Comment