নিজস্ব প্রতিনিধি, কোটশিলা:
বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন এক মহিলা। দীর্ঘ ১৪ মাস পার হলেও তার কোনো সন্ধান মেলেনি। ঘটনাটি পুরুলিয়ার কোটশিলা থানা এলাকার। এই মামলায় অভিযুক্ত তিন জনের মধ্যে দুজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবুও রহস্যের জট কাটেনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১০ জুন টাটুয়াড়া গ্রামের বাসিন্দা ওই ৩০ বছরের মহিলা হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান। তার গ্রামেই বিয়ে হয়েছিল এবং দুই সন্তান রয়েছে। কিছুদিন আগে পুরুলিয়া জেলা আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে খোরপোষের মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি, সেই মামলা বর্তমানে বিচারাধীন।
নিখোঁজের পাঁচ মাস পর, ওই বছরের ২১ নভেম্বর, কোটশিলা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি নথিভুক্ত হয়। পরে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি মহিলার বাবা জিতেন কুমার থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, তার মেয়েকে বিনা অনুমতিতে পুরুলিয়া নিয়ে গিয়ে অপহরণ করে কোথাও আটকে রাখা হয়েছে।
তদন্তে নেমে সম্প্রতি কোটশিলার বড়তলিয়া গ্রামের মহাবীর কুমারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হয়। এরই মধ্যে বুধবার রাঁচি থেকে দ্বিতীয় অভিযুক্ত, টাটুয়াড়া গ্রামের তেজুলাল কুমারকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করলে তাকেও পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। বর্তমানে দুই অভিযুক্তকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে তদন্তকারী দল।
এদিকে, নিখোঁজ মহিলার বাবা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। পুলিশ অবশ্য দুইটি দিক খতিয়ে দেখছে—প্রথমত, অসৎ উদ্দেশ্যে মহিলাকে পাচার করা হয়েছে কি না, দ্বিতীয়ত, খুন করে দেহ লোপাট করা হয়েছে কি না। ঘটনার কিনারা করতে তদন্তকারীরা সব দিক খুঁটিয়ে দেখছেন।










Post Comment