নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া :
মালভূমির জেলা পুরুলিয়া। আকারে উল্টোনো বাটির মতো। জল দাঁড়ায় না এখানে। সেই পুরুলিয়াতেই বর্ষার শুরুতেই এমন বন্যা পরিস্থিতি? কেন ভাসছে পুরুলিয়া শহর? পুরুলিয়া মিররের বিশেষ প্রতিবেদন।
🟡 অবাধ বেআইনি নির্মাণ ও জমির রূপান্তর
- কৃষিজমি বেআইনিভাবে রূপান্তরিত হচ্ছে বাস্তু জমিতে।
- জমি প্লটিংয়ে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ নেওয়া হচ্ছে না।
- পুরসভা, ভূমি দফতর কেউই আপত্তি জানাচ্ছে না, মিউটেশন ও ছাড়পত্র হয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে।
- পুকুরের ধারে ও নিচু এলাকায় বাড়ি হচ্ছে নিয়ম না মেনে।
- বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনে গরমিল, পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা যাচাই করছেন না।
- কমপ্লিশন সার্টিফিকেট না থাকা সত্ত্বেও বাড়িগুলি রয়ে যাচ্ছে আইনের বাইরে।
- পুরসভা ‘মানবিক’ আচরণ দেখিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
🟡 বেহাল ড্রেনেজ ব্যবস্থা
- মান্ধাতার আমলের নিকাশি ব্যবস্থা এখনও সচল।
- দুলমি বাঁধ, সাহেব বাঁধ, মাহাতো বাঁধ সহ অন্যান্য জলাশয়ে নেই আউটলেট বা সেগুলি বন্ধ হয়ে গেছে।
- আবর্জনায় নিকাশি পথ বন্ধ, ফলে একদিনের বৃষ্টিতেই জল ঢুকছে ঘরে।
- নর্দমার উপর দোকান তৈরি হয়ে গেছে, রাস্তা দখল করে বাণিজ্যিক নির্মাণ। 🟡 নাগরিক সচেতনতার অভাব
- প্লাস্টিক, থার্মোকল, পলিথিন অবাধে নর্দমায় ফেলা হচ্ছে।
- পুরসভা নিয়মিত পরিষ্কার না করলেও নাগরিকরাও দায়িত্বজ্ঞানহীন।
- নিকাশি পথ প্লাস্টিকে ভর্তি হওয়ায় জল আটকে ঘরে ঢুকছে।
- ক্ষোভে ফেটে পড়ছে বাসিন্দারা, কিন্তু নিজেদের দায় স্বীকারে অনীহা।
🟡 রেলের জমিতে জল নির্গমনের সমস্যা
- সাধুডাঙ্গা এলাকায় রেলের পুরনো আউটলেট বন্ধ।
- পাশের বিকল্প আউটলেট পর্যাপ্ত নয়।
- ২০২৪ সালের ১৯ নভেম্বর পুরসভা রেলকে চিঠি দিয়েছিল, তবু রেল ব্যবস্থা নেয়নি।
- একদিনের বৃষ্টিতেই শহর জলমগ্ন—প্রধান সমস্যা জল বেরোতে না পারা।
- এখন রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, সমাধানে পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
🟡 পুরসভার অবস্থান ও প্রতিক্রিয়া
- সামাজিক মাধ্যমে শুধুই পুরসভাকে দায়ী করা ঠিক নয়, বলছে কর্তৃপক্ষ।
- ভবন নির্মাণে অনিয়ম বন্ধে এবার কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস।
- পুরপ্রধান জানিয়েছেন, কৃষি জমিকে রাতারাতি বাস্তু জমি বানানো বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
- সচেতনতা বাড়ানোর বার্তা—প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ, ডাস্টবিন ব্যবহার করতে হবে।
Post Comment