insta logo
Loading ...
×

কমে গেল পুরুলিয়া-হাওড়ার দূরত্ব

কমে গেল পুরুলিয়া-হাওড়ার দূরত্ব

সুইটি চন্দ্র , পুরুলিয়া:

কমে গেল পুরুলিয়া হাওড়ার দূরত্ব। অবশেষে এলাকার মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। মশাগ্রাম হয়ে হাওড়া পৌঁছনোর নতুন রাস্তা খুলে দিল রেল। পুরুলিয়া থেকে হাওড়া পর্যন্ত নতুন মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালু হল। এতদিন খড়গপুর রুট দিয়ে পুরুলিয়া হাওড়ার দূরত্ব ছিলো ৩২২ কিমি। এবার এই ট্রেন মশাগ্রাম পথে তার চেয়ে ৪০ কিলোমিটার কম পথ অতিক্রম করবে। দূরত্ব হলো ২৮২ কিমি। ফলে সময়ও বাঁচবে, কমবে ঝুঁকি।

নতুন এই মেমু ট্রেন ২৮২ কিমি পথ পাড়ি দেবে। স্টপেজ থাকবে বিকনা, নবান্দ, বেলবনি, বেলিয়াতোড়, ছান্দার, বৃন্দাবনপুর, সোনামুখী, পাত্রসায়র, ইন্দাস, মশাগ্রাম সহ ৪৮টি স্টেশনে। ভাড়া ধার্য হয়েছে মাত্র ৬০ টাকা। পুরুলিয়া থেকে ভোর ৪টায় ছাড়বে এই ট্রেন। হাওড়া পৌঁছাবে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে। হাওড়া থেকে ট্রেনটি ছাড়বে বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে এবং রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে পৌঁছাবে পুরুলিয়ায়।

শনিবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আনুষ্ঠানিকভাবে এই ট্রেনের উদ্বোধন করেন। সেই অনুষ্ঠান পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া স্টেশনে সম্প্রচারিত হয়। উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, আদ্রা ডিআরএম সুমিত নারুলা, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার।

জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো বলেন, “রেলের কাছে বিশেষভাবে দরবার করে এই ট্রেন পুরুলিয়ার জন্য চালু করতে পেরেছি।”

রেল সূত্রে খবর, মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেনটি দ্রুতগামী এক্সপ্রেসের মতো পরিচালিত হবে। মশাগ্রাম স্টেশন পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সংযোগস্থল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। মশাগ্রামে লাইন পার হয়ে ট্রেন বদলের ঝুঁকিও থাকবে না।

এই নতুন ট্রেন সোমবার (৩০ জুন) থেকে হাওড়া-পুরুলিয়া রুটে এবং মঙ্গলবার (১ জুলাই) থেকে পুরুলিয়া-হাওড়া রুটে নিয়মিত চলবে। সপ্তাহে ছয় দিন (শুক্রবার বাদে) ট্রেন দুটি চলবে।

তবে ভোটের মুখে এই উদ্যোগকে অনেকে রাজনৈতিক চমক বলেই মনে করছেন। প্রশ্ন তুলছেন—এতদিন কেন এই রুটের মানুষকে অবহেলা করা হয়েছে?

Post Comment