নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া:
রাসমেলার আলোয় আবারও ভিড় জমতে চলেছে জেলেপাড়া দুর্গামন্দিরের বিসর্জন উপলক্ষে। তবে গত বছরের মর্মান্তিক স্মৃতি এখনও তাজা। তাই এ বার আর কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ ধীবর সমিতি। আতশবাজির উৎসবের আগে থেকেই উদ্যোক্তারা রীতিমতো সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি বিলি করেছেন চারপাশের বহুতল ও বড় বড় বাড়ির বাসিন্দাদের কাছে।
সেই বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে— ছাদ বা বারান্দায় কাউকে ভিড় করতে দেওয়া যাবে না। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় উদ্যোক্তারা নেবেন না। সমিতির সেক্রেটারি চন্দ্রচূড় ধীবর জানান, ‘‘গতবারের অভিজ্ঞতা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। তাই কোনওরকম ঢিলেমি নেই। আজ বিকেলেই আতশবাজি ও বন্যঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হবে।’’

গত বছরের ১৪ অক্টোবরের দুর্ঘটনার দুঃসহ স্মৃতি এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে। জেলিয়াপাড়া ধীবর সমিতির ঐতিহ্যবাহী আতশবাজি প্রদর্শনী দেখতে গিয়ে ভিড় জমেছিল রাসমেলার এলাকায়। আলো ঝলমলে সেই রাতে হঠাৎই ভেঙে পড়ে একটি বাড়ির ব্যালকনি। গুরুতর আহত হয়েছিলেন প্রায় ১৬ জন। প্রাণ হারান সোনালি ও মোহন ধীবর নামে ভিনরাজ্যের এক দম্পতি। আতঙ্কে মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যায় সেই ঐতিহ্যবাহী আতশবাজির প্রদর্শন।
তার পর থেকেই আরও বেশি সতর্ক হয়েছে ধীবর সমিতি। দুর্গাপুজো-পরবর্তী বিসর্জনের আনন্দে যাতে আর কোনও অঘটন না ঘটে, সেই কারণেই এবার শুরু থেকে প্রচারে জোর দিয়েছে উদ্যোক্তারা। রাসমেলার জমজমাট ভিড়ের মধ্যেও নিরাপত্তার বার্তা পৌঁছে দিতে মরিয়া সমিতি।











Post Comment