insta logo
Loading ...
×

আষাঢ়ের প্রথম দিনেই স্বস্তির বৃষ্টি, ভিজল পুরুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা

আষাঢ়ের প্রথম দিনেই স্বস্তির বৃষ্টি, ভিজল পুরুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা

নিজস্ব প্রতিনিধি, মানবাজার:

মেঘদূতমের দ্বিতীয় শ্লোকেই রয়েছে বিখ্যাত পঙক্তিটি ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে মেঘমাশ্লিষ্টসানুং’। মহাকবি কালিদাস তাঁর মেঘদূতম কাব্যে আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে বিরহী যক্ষ মেঘকে দূত করে কৈলাশে পাঠিয়েছিলেন তাঁর প্রিয়ার কাছে।

আর আষাঢ় মাসের প্রথম দিনেই স্বস্তির বার্তা নিয়ে এল ঝমঝমে বৃষ্টি। সোমবার সকাল থেকেই মানবাজার মহকুমা শহরে শুরু হয় প্রবল বর্ষণ, যা কিছু সময়ের জন্য হলেও দাবদাহে পুড়তে থাকা মানুষকে এনে দিল খানিকটা স্বস্তি। দীর্ঘদিন পরে এমন বৃষ্টিতে খুশির হাওয়া বইছে জনজীবনে। বৃষ্টি হয় জেলার অন্যান্য এলাকাতেও।
বর্ষার প্রথম দিনেই বৃষ্টির পাশাপাশি বইতে শুরু করে দমকা হাওয়া, যা সাময়িকভাবে জনজীবনে কিছুটা বিঘ্ন ঘটালেও, তাতে স্বস্তির পরশই যেন ছিল বেশি। যদিও এই বৃষ্টিপাত দীর্ঘস্থায়ী হয়নি, তবুও একটানা গরমের পরে এমন স্বস্তিদায়ক পরিবেশে প্রাণ জুড়িয়েছে সাধারণ মানুষের।

এদিন শুধুমাত্র মানবাজার নয়, জেলার অন্যান্য এলাকাতেও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা কৃত্তিবাস বাউরী ও উত্তম কুমার বাউরী জানান, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এই বৃষ্টিতে যেমন গরম থেকে কিছুটা রেহাই মিলেছে, তেমনি কৃষিকাজের ক্ষেত্রেও এর সুফল মিলবে বলে আমরা আশাবাদী।

জেলার চাষিরা মনে করছেন, মরশুমের শুরুতেই এই বৃষ্টি ফসলের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। ফলে আষাঢ়ের শুরুতেই প্রকৃতির এই রূপ দেখে আশার আলো দেখছেন কৃষিজীবীরা।

Post Comment