insta logo
Loading ...
×

অযোধ্যা পাহাড় অশান্ত হলে কড়া হাতে দমন, হুল দিবসে বার্তা এসপি-র

অযোধ্যা পাহাড় অশান্ত হলে কড়া হাতে দমন, হুল দিবসে বার্তা এসপি-র

নিজস্ব প্রতিনিধি, অযোধ্যা পাহাড়:

অযোধ্যা পাহাড়ে হুল দিবসের অনুষ্ঠানে শান্তি ও উন্নয়নের অঙ্গীকারের বার্তা দিল প্রশাসন। সোমবার অযোধ্যা পাহাড় আদিবাসী উন্নয়ন কমিটির উদ্যোগে ময়ূর পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় সিধু-কানুর মূর্তি উন্মোচন করা হয়। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও পাহাড়ের ৯২টি গ্রামের মানুষ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। ছিলেন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু, জেলা পরিষদের সভাধিপতি নিবেদিতা মাহাতো, বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীবলোচন সরেন এবং বাঘমুন্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো প্রমুখ।

পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “কোনও বিশৃঙ্খলাকারী যদি অযোধ্যা পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করে, তাহলে পুলিশ কঠোর হাতে তা দমন করবে। আগের মতো আর পরিস্থিতি নেই—পাহাড়ে এখন উন্নয়নের জোয়ার চলছে। তবু কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি নানা কারণে এই অঞ্চলকে উত্তপ্ত করতে চাইছে। তাদের কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।”

সম্প্রতি ময়ূর পাহাড়ে সিধু-কানুর মূর্তি স্থাপনকে কেন্দ্র করে অযোধ্যা পাহাড় আদিবাসী উন্নয়ন কমিটির সঙ্গে ‘প্রকৃতি বাঁচাও ও আদিবাসী বাঁচাও’ নামক একটি সংগঠনের দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে, বহিরাগত কিছু ব্যক্তির উস্কানিতেই ওই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। পরে যারা বিভ্রান্ত হয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছিলেন, তাঁরা ক্ষমা চান।

অযোধ্যা পাহাড় আদিবাসী উন্নয়ন কমিটির সভাপতি বলিবাস মুর্মু অনুষ্ঠানে বলেন, “এই পাহাড়ে শান্তি বিঘ্নিত হোক, তা আমরা চাই না। যারা বাইরে থেকে এসে আমাদের বিভ্রান্ত করছে, সংঘাত বাঁধানোর চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াব আমরা। আজকের অনুষ্ঠানে পাহাড়বাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে দিল—এই পাহাড় শান্তি ও উন্নয়ন চায়।”

Post Comment