নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঘমুন্ডি:
চেন্নাইয়ে কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া বাঘমুন্ডির যুবক অবশেষে ১১ দিন পর ফিরলেন বাড়ি। তবে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়ায় রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঘমুন্ডির নওয়াডি গ্রাম থেকে সম্প্রতি আটজন পরিযায়ী শ্রমিক চেন্নাই পাড়ি দেন। সেখানেই গোপু ঘাটোয়ালের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। আরেক শ্রমিক সন্তোষ ঘাটোয়াল ওরফে মিঠুন হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যান। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের হয় বাঘমুন্ডি থানায়। যেখানে মিঠুনের পরিবারের পক্ষ থেকে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তোলা হয়।
অবশেষে মঙ্গলবার ভোরে ট্রেনে করে সুইসা স্টেশনে পৌঁছে বাড়ি ফেরেন মিঠুন। পরিবারের সদস্যরা জানান, টাটানগর স্টেশনে স্থানীয় কিছু মানুষের মাধ্যমে মিঠুনের অবস্থান সম্পর্কে খবর পান তারা। বাড়ি ফিরে মিঠুন জানান, ওই সময় তার কিছুই মনে নেই। তিনি পুরোপুরি হুঁশ হারিয়েছিলেন। শুধু এটুকুই মনে আছে, কেউ তাকে পেছন থেকে তাড়া করছিল। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের দাগ স্পষ্টভাবে দেখা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চেন্নাইয়ে কর্মস্থলে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মিঠুন বাড়ি ফিরতে চাইলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। এরপর দেওয়াল টপকে পালাতে গিয়ে শরীরে চোট পান তিনি। ফেরার পথে দু’বার অসুস্থ হয়ে পড়েন বলেও দাবি করেছে পুলিশ।
এদিকে একসঙ্গে কাজের উদ্দেশ্যে চেন্নাই যাওয়া এক শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু এবং অন্য এক যুবকের আহত অবস্থায় ফিরে আসা নিয়ে এলাকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তে নেমেছে বাঘমুন্ডি থানার পুলিশ।
Post Comment