insta logo
Loading ...
×

মিললো দূষণ নিয়ন্ত্রণ ছাড়? তবু তো কালো ধোঁয়া, অভিযোগ

মিললো দূষণ নিয়ন্ত্রণ ছাড়? তবু তো কালো ধোঁয়া, অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আড়শা :

এবার নাগরিক কনভেনশন করে দূষণের বিরুদ্ধে সরব হলেন পুরুলিয়ার আড়শা থানার কৌরাং গ্রামের বাসিন্দারা৷ রবিবার সকালে স্থানীয় ভাও মেলার মাঠে ব্রেক থ্রু সায়েন্স সোসাইটির সহযোগিতায় পুয়াড়া অঞ্চল দূষণ বিরোধী নাগরিক কমিটি এই কনভেনশন আয়োজন করে৷ তাদের অভিযোগ, আন্দোলন সত্বেও খুলে গেছে দূষণ ছড়ানোতে অভিযুক্ত স্পঞ্জ আয়রন কারখানা। আর সেই স্পঞ্জ আয়রন কারখানা থেকে এখনও সেই একই ভাবে দূষণ ছড়াচ্ছে। পুরুলিয়া জেলার আড়শা থানার কৌরাং গ্রামে এই স্পঞ্জ আয়রন কারখানার ছড়ানো দূষণের জেরে জনজীবন কার্যত বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। অভিযোগ, কারখানা থেকে নিরন্তর বার হচ্ছে কালো ধোঁয়া। শ্বাসকষ্ট, ত্বকের রোগ দেখা দিচ্ছে ঘরে ঘরে। ভয়ঙ্করভাবে জ্বালা করছে চোখ। নানান শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন গ্রামবাসীরা।

দূষণ রুখতে মাস দুয়েক আগে গোটা গ্রামের মানুষ একজোট হয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। হয়েছে ব্যাপক আন্দোলন। আএ এই টানা আন্দোলনের জেরে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় কারখানার কার্যকলাপ। বাসিন্দাদের অভিযোগ, “সম্প্রতি ফের শুরু হয়েছে কারখানার কাজ, যার ফলে গ্রামে আবারও শুরু হয়েছে ধোঁয়ার দাপট।”

কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবি করছেন, “কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ থেকে ছাড়পত্র ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি পাওয়ার পরই কারখানা চালু করা হয়েছে।” গ্রামবাসীদের পালটা অভিযোগ, তাদের অন্ধকারে রেখে ষড়যন্ত্র করে পুনরায় কারখানাটি চালু করা হয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন, যদি ছাড়পত্র মেলে থাকে, তবে কেন তা গ্রামবাসীদের জানানো হয়নি?

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা দিনের পর দিন এই মারাত্মক বিষাক্ত গ্যাসে শ্বাস নিচ্ছি। ছোট ছোট শিশুরাও হয়ে পড়ছে অসুস্থ। প্রশাসন কেন নিশ্চুপ? “

গ্রামবাসীদের কথায়, “কৌরাং গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় এই ধরনের একটি কারখানা স্থাপনার সময় খানিকটা দূষণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পরে তা মারাত্মক আকার ধারণ করছে। অনেকক্ষেত্রে সর্বোচ্চ লাভের জন্য কোনো ফিল্টার ব্যবহার হয় না। ফলে দূষিত গ্যাস বাতাসে ছেড়ে দেওয়া হয়। তাতে আছে কার্বন ডাই অক্সাইড, সালফার ডাই অক্সাইড ছাড়াও অ্যালুমিনিয়াম, কার্বন, লোহা, সিলিকন, ম্যাঙ্গানিজ এবং ক্যাডমিয়াম সহ কপার, নিকেল, জিঙ্কের মত ভারী ধাতু। সেগুলোও ডাস্ট হিসাবে ধোঁয়ায় মিশে থাকে। ফলে বায়ু- জল-মাটি, ফসল, সবজি সব কিছুই দূষিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষতো হচ্ছেননই, এই কারখানা গুলোতে যারা কাজ করেন তারাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।”

এলাকায় ক্ষোভ ক্রমেই বাড়ছে। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, দাবি না মানলে তারা আবার বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।

Post Comment