তরুণী খুনে বোরোয় গ্রেপ্তার আরও তিন

নিজস্ব প্রতিনিধি, মানবাজার:

তরুণীকে খুন করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হল আরও তিন জন যুবককে । ধৃতরা হলো অভিষেক টুডু, বিশ্বজিৎ মান্ডি ও ফুর্গাল মান্ডি। তাদের সকলের বাড়ি বোরো থানার ঝরিয়াডি গ্রামে। বুধবার ,তাদের জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। তরুণী খুনের ঘটনায় এই নিয়ে মোট ৫ জন যুবককে গ্রেপ্তার করলো বোরো থানার পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় প্রথম ঝরিয়াডি গ্রামের বাসিন্দা জলেশ্বর মান্ডিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । জলেশ্বরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সোমবার রাতে ওই গ্রামের বাসিন্দা কদমপাহা হেমব্রমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক ৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। তারপর ধৃত দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করে এই তিন জনের নাম পায় পুলিশ। জানা গিয়েছে খুন করে প্রমাণ লোপাটের ঘটনায় এই তিন জন যুবক তাদের সাহায্য করেছিলেন।

গত ২০ জুন বোরো থানার ঝরিয়াডি গ্রামে একটি ঝোপের পাশ থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায় বোরো থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে আসে, ওই তরুণীকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। ফলে এই ঘটনায় ২৮ জুন অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে একটি খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নামে বোরো থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে অজ্ঞাত পরিচয় ওই তরুণীর পরিচয় জানা যায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃতার নাম শান্তা হাঁসদা। তার বাড়ি বাঁকুড়ার তালডাঙরা থানার বারিডিহি গ্রামে। ওই যুবতীর পরিচয় পাওয়ার পরেই আবার তদন্তে নামে পুলিশ। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার ঝরিয়াডি গ্রামের বাসিন্দা জলেশ্বর মান্ডিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে ওই তরুণীর সাথে ধৃত জলেশ্বরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। পুলিশ আরও জানতে পারে খুন করে প্রমাণ লোপাটে জলেশ্বরকে সাহায্যে করেছে কদমপাহা সহ ওই গ্রামের বাসিন্দা অভিষেক টুডু, বিশ্বজিৎ মান্ডি ও ফুর্গাল মান্ডি। এই ঘটনার পেছনে আরোও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।