নিজস্ব প্রতিনিধি, রঘুনাথপুর :
বাবার দুর্ঘটনার শিকার! এমন ভুয়ো খবর দিয়ে অপহরণ করা হয়েছিল কিশোরীকে। বাইকে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। আর তারপর ঘটে গিয়েছিল পাশবিক অত্যাচার। ধর্ষণ করা হয় কিশোরীকে। গলায় ধারালো ছুরি ঠেকিয়ে রাখে ধর্ষক, যাতে প্রাণের ভয়ে চিৎকার না করতে পারে ওই কিশোরী। রঘুনাথপুর এলাকা এমন নৃশংস ঘটনায় উঠেছিল কেঁপে। এবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। শোনালো কুড়ি বছরের কারাদণ্ডের সাজা। রঘুনাথপুর মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক প্রিয়জিৎ চট্টোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার এই দণ্ডাদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা জানা গিয়েছে পুরুলিয়ার রেল শহর আদ্রার পোস্ট অফিস মোড়ের বাসিন্দা সম্রাট ঘোষালকে কুড়ি বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৮ মাসের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তার সঙ্গে জেলা আইনি পরিষেবা কেন্দ্রে ধর্ষিতার হাতে চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর ঘটে এই হাড় হিম করা ঘটনা। রঘুনাথপুর মহিলা থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে পাড়া থানা এলাকার এক বাসিন্দা জানান, রঘুনাথপুর এলাকায় তিনি তার দোকানে দুই মেয়েকে রেখে অন্যত্র গিয়েছিলেন। এমন সুযোগে অজ্ঞাত পরিচয় এক বসিক আরোহী যুবক সেখানে এসে তার বছর ১৩ র বড় মেয়েকে জানায়, বাবা দুর্ঘটনার শিকার হয়ে রঘুনাথপুরের সালকা হাসপাতালে ভর্তি।
এমন দুঃসংবাদ দিয়ে কিশোরীকে মোটর বাইকে বসিয়ে চলে যায় অভিযুক্ত। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে একটি অপহরণের মামলা রুজু করে তদন্তে নামে রঘুনাথপুর মহিলা থানার পুলিশ। তৎকালীন ওই থানার ওসি অর্পিতা ভট্ট ছিলেন আইও। আদ্রা এলাকা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। বিবাহিত এবং এক সন্তানের পিতা সম্রাট ঘোষালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার যে মোটর বাইকটি বাজেয়াপ্ত হয়, সেটিও চোরাই। ধৃতের বিরুদ্ধে আদ্রা থানায় একাধিক অপরাধের মামলা রয়েছে বলে জানতে পারে পুলিশ।










Post Comment